৭ প্রকার লোকের সমালোচনা করলে গীবত হয় না

‘গীবত’ শব্দটি আরবী। এর অর্থ পরনিন্দা, ছিদ্রান্বেষণ অপরের দোষ বর্ণনা করা। অর্থাৎ একজনের দোষ আরেকজনের কাছে প্রকাশ করা, বর্ণনা করা। শরীয়তে গীবত করা কবীরাহ গুনাহর অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহ পাক সূরা হুজুরাত-এর ১২ নম্বর আয়াত শরীফ-এর মধ্যে গীবত করতে নিষেধ করেছেন এবং গীবত করাটাকে মৃত ভাইয়ের গোশত খাওয়ার সাথে তুলনা করেছেন। এ আয়াত শরীফ-এর তাফসীরে হুজ্জাতুল ইসলাম হযরত ইমাম গাযযালী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেছেন, “কয়েক প্রকার লোক রয়েছে যাদের দোষ-ত্রুটি বর্ণনা করলে গীবত হয় না।”

এক. কোন লোক যদি কাজী ছাহেবের কাছে বিচারের জন্য যায় এবং বিচারের জন্য যদি সে সত্য কথা বলতে গিয়ে বিপরীত পক্ষের দোষ-ত্রুটি বর্ণনা করে, তাহলে সেটা গীবত হবে না।
দুই. কোন লোক যদি মুফতী ছাহেবের কাছে যায় ফতওয়ার জন্য তখন সত্য কথা বলতে গিয়ে যদি বিপরীত পক্ষের দোষ-ত্রুটি বর্ণনা করে তাহলে সেটা গীবত হবে না।
তিন. যারা রাজা-বাদশাহ, আমীর-উমারা তাদের সংশোধনের জন্য যদি তাদের দোষ-ত্রুটিগুলো ধরিয়ে দেয়া হয়, তাহলে সেটা গীবত হবে না।
চার. যারা ফাসিক তাদের দোষ-ত্রুটি বর্ণনা করলে গীবত হবে না। ফাসিক হলো ঐ ব্যক্তি যে ফরয, ওয়াজিব, সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ তরক করে।
পাঁচ. কোন লোক লুলা-ল্যাংড়া, বোবা তোতলা হিসেবে মশহুর তাকে যদি লুলা-ল্যাংড়া, বোবা, তোতলা বলে ডাকা হয়, তাহলে সেটা গীবত হবে না।
ছয়. কোন পিতা তার ছেলেকে বিয়ে করাতে চায় বা মেয়েকে বিয়ে দিতে চাই তখন বিপরীত পক্ষের ছেলে বা মেয়ের প্রতিবেশীর কাছে গিয়ে যদি ঐ ছেলে বা মেয়ে সম্বন্ধে সংবাদ নেয় আর প্রতিবেশীর লোকেরা সত্য কথা বলতে গিয়ে যদি সেই ছেলে বা মেয়ের দোষ-ত্রুটিগুলো বলে দেয়, তাহলে সেটা গীবত হবে না।
সাত. যারা উলামায়ে ছূ’ অর্থাৎ দুনিয়াদার আলিম বা মাওলানা, যারা দুনিয়াবী স্বার্থ হাছিলের উদ্দেশ্যে শরীয়তের খিলাফ মনগড়া ফতওয়া দিয়ে থাকে ও আমল করে থাকে।

একটি রেসপন্স

  1. আমাকে জানাবেন আমি যে লোকের কাছে কথা বলছি সে লোক যার কথা বলছি ওনাকে চিনেন না আমি চিনি তাহলে গিবত হবে

    Like

এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান