Category Archives: খিলাফত

সম্মানিত খিলাফত ব্যবস্থা জমিনই যেন জান্নাত!

সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার প্রথম খলীফা খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, খলীফাতুল মুসলিমীন, সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার খিলাফতকাল। সবদিকে চলছে ইনসাফপূর্ণ শাসন ব্যবস্থা। তারপরও খলীফাতুল মুসলিমীন সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ উনার একজন বিচারক প্রয়োজন বোধ করলেন। তিনি আমীরুল মু’মিনীন, খলীফাতুল মুসলিমীন সাইয়্যিদুনা হযরত ফারুক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ উনার বিচারক মনোনিত করলেন।

বিচারক হিসেবে সাইয়্যিদুনা হযরত ফারুক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি এক বছর কাটিয়ে দিলেন। কিন্তু বিচার প্রার্থী হিসেবে নালিশ নিয়ে একজনও আসলেন না। একটি বিচার বসানোরও প্রয়োজন পড়েনি। এজন্য সাইয়্যিদুনা হযরত ফারুক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি বিচারের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চাইলেন। তিনি খলীফাতুল মুসলিমীন, সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার কাছে আরজ করলেন। তিনি উনার কাছে জানতে চাইলেন, বিচারের কোনো সমস্যার কারণে কি আপনি অব্যাহতি চাচ্ছেন?

সাইয়্যিদুনা হযরত ফারুক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি উত্তর দিলেন, খলীফাতুল মুসলিমীন! না। কারণ বিচারক হিসেবে এখানে আমার কোনো প্রয়োজন নেই। সবাই উনাদের হক্ব সম্পর্কে সচেতন। উনাদের কেউ নিজের হক্বের বেশি আশা করেন না। আর উনাদের ওপর যে দায়িত্ব-কর্তব্য রয়েছে, তাও সঠিকভাবে পালন করেন। উনারা নিজেদের জন্য যা পছন্দ করেন, উনাদের ভাইয়ের জন্যও তাই পছন্দ করেন।

কারো সঙ্গে দেখা না হলে উনারা উনার খোঁজখবর নেন। কেউ অসুস্থ হলে উনার সেবা করেন। কেউ অসহায় হয়ে পড়লে উনাকে সাহায্য করেন। কারো কোনো প্রয়োজন পড়লে উনার প্রয়োজন পূরণে এগিয়ে আসেন। কেউ বিপদে পড়লে উনাকে সান্ত¡না দিয়ে বিপদ কমানোর চেষ্টা করেন। উনাদের চরিত্র হলো, সৎ কাজের আদেশ দেওয়া ও মন্দ কাজে নিষেধ করা। তাই উনারা কেন ঝগড়া-বিবাদে লিপ্ত হবেন। উনাদের বিচারকের-ই বা কী প্রয়োজন?

নছীহত মুবারক:

সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার খিলাফত ব্যবস্থা যখন জারী ছিলো তখন সবাই এত ইতমিনান ছিলেন যে কারো কোন অভিযোগ ছিলো না। সম্মানিত খলীফা উনার পক্ষ হতে সকল বিষয়ের সবার দেখাশোনা করা হতো। সবার চাহিদা পূরণ করে দেয়া হতো। জনসাধারণও এমন ছিলেন যারা তাক্বওয়া-পরহিযগারীতে বেমেছাল। যার ফলে জমিনই ছিলো জান্নাতের নিয়ামতের মতো পরিপূর্ণ। আবার যখন হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মাধ্যমে সম্মানিত খিলাফত মুবারক কায়েম হবে তখন জমিনে ইনসাফ আবার কায়িম হবে এবং জান্নাতের মতো নিয়ামত দ্বারা জমিন পরিপূর্ণ হবে।

Continue reading →